আমাদের কিছু কথা

image-not-found

*হক্কানী উলাময়ে কেরাম ও খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদদের পরামর্শে পরিচালিত।

*সুদক্ষ শিক্ষিকা দ্বারা ছাত্রীদের লোখাপড়া ও তরবিয়াতের সু-ব্যবস্থা।

*আবাসিক ছাত্রীদের লেখাপড়া ও উন্নত চরিত্র গঠনের জন্য সার্বক্ষণিক শিক্ষিকাদের নেগরাণীর সু-ব্যবস্থা।

*কোরআন হাদিস, মাসআলা, শিক্ষামূলক পত্রিকা, আকাবিরদের জীবন ইতিহাস ও গবেষণামূলক পুস্তক সম্বলিত পাঠাগারের ব্যবস্থা।

*কুরআন হিফজ করার পাশাপাশি বাংলা, অংক, ইংরেজীসহ পাঠদানের ব্যবস্থা এবং পাবলিক পরীক্ষা তথা ৫ম সমাপনী ও জে.ডি.সি তে অংশগ্রহণের নিমিত্তে যোগ্য করে তোলা।

*প্রত্যেক ছাত্রীকে ক্লাশের পড়া ক্লাশেই মুখস্তকরণ ও ডায়েরী মেইনটেইন করার বিশেষ ব্যবস্থা।

*ব্যস্ত ও প্রবাসি অভিভাবকদের সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব গ্রহন ও মাতৃস্নেহে পাঠদান।

*আদর্শ গৃহিনী ও আদর্শ মা হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় হাতের কাজ, সেলাইয়ের কাজ, কম্পিউটার সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।

*ভিআইপি আবাসিক ছাত্রীদের প্রত্যহ ২ বেলা নাস্তা ও ৩ বেলা খাবারের সু-ব্যবস্থা।

*স্বাস্থ্যকর ও মনোরম পরিবেশে আবাসন, সার্বক্ষণিক শরিয়ত অনুযায়ী পর্দা এবং নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা।

*বিদ্যুতের পাশাপাশি জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ এর সু-ব্যবস্থা।

*ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নৈশ প্রহরী দ্বারা সার্বক্ষণিক

*সিকিউরিটির বিশেষ ব্যবস্থা।

* স্কুল ছাত্রীদের জন্য সার্বক্ষণিক কুরআন শিক্ষার সু-ব্যবস্থা।

*ক্বেরাত, হাম্দ-নাত, গজল, বক্তৃতাসহ সাপ্তাহিক সেমিনারের সু-ব্যবস্থা।

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ভাষায় "পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর- অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।" আদর্শ সমাজ গঠনে আদর্শ মায়ের বিকল্প নেই। আর আদর্শ মানুষ গঠনের সর্বপ্রথম ভিত্তি হল নেক্কার ও আদর্শ "মা"। কেননা পৃথিবীতে যত শিশু জন্মগ্রহন করে সে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে মাতৃক্রোড়ে। আমরা জানি পৃথিবীতে যারা বড় হয়েছেন ভাল মানুষ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন যাদের চিন্তায় ও কর্মে মহত্ব ও সৌন্দয্যের সমাবেশ ঘটেছে তার অধিকাংশই প্রাপ্ত মাতৃক্রোড় থেকে। এ মহাসত্য উপলব্ধি করে ন্যাপোলিয়ান বলেছেন, "আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।"
একটি সুবোধ বালিকাই সময়ের ব্যবধানে পরিণত হয় আদর্শ মায়ে, যার পদতলে সন্তানের বেহেস্ত। সে হয় আদর্শ স্ত্রী, সে পুরুষ জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কোরআন ও হাদিস শরীফে ইলম শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চাকারীর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে সর্বাপেক্ষা বেশি। সত্যিকার জ্ঞান হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তষ্টির জন্য ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ কামনায় যে ইলম শিক্ষা করা হয়।
এ ইলম যেমন পুরুষের জন্য প্রয়োজন তেমনি নারীদের জীবনেও এর প্রয়োজনীয়তা কোন অংশে কম নয়। কিন্তু প্রাশ্চাত্যের কু-শিক্ষা ও অসত্য দীক্ষায় দীক্ষিত এবং প্রভাবিত আজকের নারী জাতিকে মুক্ত করে, এলমে ওহীর আলোয় আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর প্রেমে সিক্ত করতে সক্ষম না হলে সে প্রত্যাশা পূরন হবার নয়। এজন্য প্রয়োজন খালেস দ্বীনি ও এলমে ওহীর শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ও সিরাতে রাসুল (সাঃ) এবং সিরাতে সাহাবার পদাঙ্ক অনুসরণ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ইসলাম ও আধুনিকতার সমন্বয়ে আদর্শ মা ও জাতি গঠনে "সাবিলুন নাজাহ ইসলামিয়া বালক ও বালিকা" অগ্রযাত্রা। আল্লাহ আমাদের এই প্রয়াসকে কবুল করুন। আমিন